নিউজ ডেস্ক।।
মেহেন্দিগঞ্জের সদর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মেম্বার আমির জমদ্দার’র বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ। সংবাদ পেয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমির জমদ্দার’র ছেলে সোহাগ জমদ্দার’র অভিযোগ সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে তার বাবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ সাঙ্গপাঙ্গরা এই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটিয়েছে। সোহাগ জমদ্দার’র শরীরে নীলাফোলা জখমের চিহ্ন রয়েছে, তার মেয়ের হাতের আঙ্গুলে কাটা জখম রয়েছে। এছাড়াও তাদের বাড়ির পোষা কুকুরটিকেও কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ টার সময় ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়। ঘটনার সময় ঘরে ছিলেন আমির জমদ্দার’র বড় ছেলে সোহাগ জমদ্দার ও তার স্ত্রী সনিয়া বেগমসহ তাদের ৩ সন্তান। তাদের দরজার সিটকানী ভেঙে ১০-১২ জনের একটি মুখোশধারী দল ঘরে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে । অভিযোগ ডাকাতদল ওয়ারড্রব, সুকেশ ভেঙে এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় । ৭৩ হাজার টাকা এবং আনুমানিক ৪ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। এসময় সোহাগকে হাত ও চোখ বেধে মারধর করতে করতে আনন্দবাজার নিয়ে যায়। পরে মানুষের টের পেয়ে ছেড়ে দেয়। তার বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরত্ব হবে আনন্দ বাজার। সোহাগ ও তার স্ত্রী বলেন, তারা ৪ জন ডাকাতকে চিনতে পেরেছেন। ডাকাতদল সোহাগকে হুমকি প্রদান করে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা পূর্বের একটি মামলা প্রত্যাহার করতে বলেন । ওই মামলার বাদী সোহাগ জমদ্দার। সোহাগ’র ভাষ্যমতে আজাদ ভূইয়া, জামাল মৃধা, রব হাওলাদার ও খালেক খান ডাকাত সদস্যদের সাথে ছিলেন। অভিযুক্ত আজাদ ভূইয়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া সদর ইউপির নির্বাচনে সোহাগ জমদ্দারের পিতা বর্তমান মেম্বার আমির জমদ্দার’র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। নির্বাচন নিয়ে উভর পরিবারের মধ্যে হামলা-মামলা চলে আসছে। পুলিশ তদন্তে বেড়িয়ে আসবে ডাকাতির মূল্য রহস্য এমনটাই আশাবাদী স্থানীয়রা।
Leave a Reply