নিউজ ডেস্ক // বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে একের পর এক বক্তব্যে দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন পাতারহাট সরকারি আরসি কলেজের উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম।
এবার ইউএনও, এডিসি, ডিসিকে সম্মানী পাঠানো লাগে। এটা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত। সরকারি পাতারহাট আর.সি কলেজের উপাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলামের এমন বিতর্কিত বক্তব্যে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে শোনা যায় ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরিক্ষার ফি বাবদ ২৬০০ টাকা করে নেওয়ার পরে এডমিট কার্ড বাবদ ৫০০ টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চায় শিক্ষার্থীরা। তারপর কারণ হিসেবে শহীদুল ইসলামকে বলতে শোনা যায় যে, শিক্ষার্থী কম। তাই দপ্তরের খরচ মেটাতে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে। যা এক প্রকার জোর করে নিচ্ছেন বলেও বলতে শোনা যায় তাকে। কথোপকথনের এক একপর্যায়ে উপাধাক্ষ শহীদুল ইসলাম কে বলতে শোনা যায়, ইউএনও, এডিসি ও ডিসিকে সম্মানী পাঠানো লাগে। এটা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত। কাকে কত দিতে হবে।
তার এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়ার পরে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। যদিও তার এই বিতর্কিত বক্তব্য নতুন কিছু নয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানহানি করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে পাতারহাট সরকারি আরসি কলেজের উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন জেলা পরিষদের সদস্য জিল্লুর রহমান মিয়া ।
এবার নতুন করে ডিসি,এডিসি ও ইউনও কে সম্মানী পাঠানো লাগে সেই বক্তব্য দিয়ে ফের আলোচনায় উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম।
তার বিরুদ্ধে ভর্তি বানিজ্য, নামে বেনামে খাতে অর্থ আদায়, কলেজে গাছ কেটে বিক্রি সহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
এ সকল ঘটনায় কোনপ্রকার ব্যবস্থা না নেয়ায় তার অনিয়মের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে। আর.সি কলেজের অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করে একক রাম রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে শহিদুল ইসলাম। তার এই বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে এবার ফুঁসে ওঠেছে ওই কলেজের, শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।