নিউজ ডেস্ক ।।
প্রায় দুইশত একচল্লিশ বছর আগে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরহোগলা গ্রামে ৫০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় চরহোগলা জমিদার বাড়ি।
বৃটিশ শাসনামলের অনন্য স্থাপনার নজির এই জমিদার বাড়িটি। বৃটিশ এবং মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণ চোখে পরে জমিদার প্রাসাদের স্থাপত্যশৈলীতে। জমিদার পাঞ্জুশরিফ এই বংশের গোরাপত্তন করে,তার পিতার নাম “বুধাই শরিফ” এবং মাতার নাম “চান বিবি”।
” বুধাই শরিফ ” ছিলেন বিহারের রাজ কোষাধ্যক্ষ
২৩ জুন ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধে নবাব মির্জা মুহাম্মদ সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয়ের ফলে বিহার বৃটিশদের অধীনস্থ হওয়ায় বুধাই শরিফ প্রান ভয়ে তার পরিবার সহ পূর্ব বাংলার সিলেটে চলে আসেন এবং সেখানেই তিনি মৃত্যু বরন করেন। তার মৃত্যুর পরে “পাঞ্জুশরিফ ” তার মাতা” চান বিবিকে ” নিয়ে প্রথমে খুলনা চলে আসেন এবং এর কিছুদিন পরে ১৭৮০ সালে মেহেন্দিগঞ্জ চোলে আসেন এবং বসতি স্থাপন করেন যা ছিল জোড়াসাঁকো ঠাকুর এস্টেটে জমিদারির অংশ । “পাঞ্জুশরিফ” ঠাকুর এস্টেটের কর্তৃক এই অঞ্চলে জমিদারি প্রাপ্ত হন এবং পরবর্তী সময়ে আত্মীয়তা স্বরূপ শায়েস্তাবাদ নবাব কর্তৃক কিছু অঞ্চল উপহার প্রাপ্ত হন।
পরবর্তী সময়ে পাঞ্জুশরিফের নাতি আবু জমিল শামসুল হামিদ চৌধুরী( আকা মিয়া) বৃটিশ কর্তৃক নতুন জমিদারি অঞ্চল ক্রয় করেন আর বৃটিশ কর্তৃক “চৌধুরী” উপাধি লাভ করেন।
পাঞ্জুশরিফে জ্যেষ্ঠ পুত্র আব্দুল করিম চৌধুরীর(ভেলু মিয়া) সময় কালে চরহোগলা জমিদার পরিবার বৃটিশ কর্তৃক জলকর প্রাপ্তির আধিকার লাভ করে যার সীমানা মেহেন্দিগঞ্জ থেকে বঙ্গোপসাগর আবধি নদী সমূহ।
“পাঞ্চু শরিফ” ছয় পুত্র সন্তান ও দুই কন্যা সন্তান এর জনক
১ আব্দুল করিম চৌধুরী(ভেলু মিয়া)
২ জালাল উদ্দিন চৌধুরী(কালা মিয়া)
৩ আব্দুল হামিদ চৌধুরী(সোনা মিয়া)
৪ আব্দুস ছোবাহা চৌধুরী(ছোবাহান মিয়া)
৫ মফিদুল ইসলাম চৌধুরী (ফেদু মিয়া)
৬ আবু মিয়া( ভাল নাম জানা জায়নি)
৭ মুকিমুন নেছা (কন্যা)
৮) *নাম পরবর্তীতে জানা গেলে সংযোজন করা হবে
পাঞ্জুশরিফের দ্বিতীয় পুত্র
জালাল উদ্দিন চৌধুরীর (কালা মিয়ার) সময় কালে বাড়ির প্রধান জমিদার প্রাসাদ ভবন নির্মাণ করা হয়
স্থানিয়দের কাছে এটি কালামিয়া জমিদার বাড়ি নামে অধিক পরিচিত।
কিভাবে যাওয়া যায়:ঢাকা থেকে লঞ্চ যোগে মেহেন্দিগঞ্জ লঞ্চঘাট (স্টিমারঘাট) হয়ে সরাসরি সড়ক পথে চরহোগলা কালামিয়া জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।
তথ্য সূত্রে : ইন্টারনেট
Leave a Reply