নিজস্ব প্রতিবেদক // আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনেকে অনেক কিছু ভাবছেন, অমুকরা এখন কোত্থেকে আসছে, কে আবার জুড়ে আসছে। উড়ে এসে জুড়ে বসা লোক আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হবে না।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, সিম্পল লিভিং, হাই থিংকিং, শেখ হাসিনার মূল মন্ত্র। আমরা এমন নেত্রী পেয়েছি যিনি সততার জন্য সারা বিশ্বে সমাদৃত। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ নেতৃত্বের প্রথম সারিতেই আমাদের নেত্রীর নাম রয়েছে।
সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা নির্বাচন করি পাঁচ বছরে ১ মাস। আর শেখ হাসিনা নির্বাচন করেন পাঁচ বছর। হয়তো ৫ বছর পর নির্বাচন। তিনি হয়তো বাংলাদেশের কোনও প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছেন, নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তখনই হয়তো একটা-দুইটা নাম লিখে রেখেছেন। যখন জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে অথবা সংরক্ষিত আসনে প্রার্থিতা দেওয়া হচ্ছে তখনই ওই ডায়েরি থেকে খুঁজে খুঁজে নাম বের করে প্রার্থিতা ঠিক করে নেন, এই হচ্ছেন শেখ হাসিনা। ১৫৫০ জন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে দিতে হবে মাত্র ৪৮ জন। এটা নেত্রীর ওপর ছেড়ে দিন। নেত্রী কোন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের নাম কোন জেলায় গিয়ে লিখে রেখেছেন, তিনিই হয়তো স্থান পাবে এই ৪৮ জনের মধ্যে।
সব কলহ মুছে নেতাকর্মীদের নতুন করে একাট্টা হয়ে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সবাই কাজ করবেন। এই বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য শত্রুরা তৎপর। শত্রুদের হাতে হাতিয়ার তুলে দেবেন না আমাদের ক্ষতি করার জন্য। আর আওয়ামী লীগ নিজেরাই যদি নিজেদের শত্রু হয় বাইরের শত্রুর কোনো দরকার নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা অর্থনীতি মুক্তির উত্তরাধিকার। তিনি আমাদের প্রগতির রাস্তা দেখিয়েছেন। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর গত ৪৮ বছরে তার (শেখ হাসিনা) মতো জনপ্রিয় নেতা আর একজনও সৃষ্টি হয়নি। গত ৪৮ সবচেয়ে সৎ নেতার নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা, সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশে গত ৪৮ বছরে সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার মতো একজন নেতা সৃষ্টি হয়নি। শেখ হাসিনা মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মানুষের জয় গান গেয়েছেন।