নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিদ্যানন্দপুর এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ শিক্ষকের সার্টিফিকেট’র সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি। জাল সনদ দিয়ে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করছেন মোঃ জহিরুল ইসলাম ও নাহিদা সুলতানা, এমনটা দাবি করছেন অভিযোগকারীরা। এই শিক্ষকরা জাল সনদ দিয়ে শিক্ষকতা চালিয়ে গেলেও স্কুল কতৃপক্ষ সেটা ধরতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন। সহকারী শিক্ষক জহিরুল ইসলাম এর নিবন্ধন সনদটি জাল বলে জোড়ালো দাবী বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির। সুত্র জানায়, এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীতে। জাল সনদে চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠা ওই শিক্ষকের নাম মো.জহিরুল ইসলাম ও নাহিদা সুলতানা । এরা ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন। নাহিদা সুলতানা ২২-২-২০০৫ সালে এবং জহিরুল ইসলাম ১০-১০-২০১২ সালে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। বিদ্যালয়টি ১৯৮৫ সালে এমপিওভুক্ত হয়।নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে যোগদানের সময় জহিরুল ইসলাম ২০০৯ সালের প্রথম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার নিবন্ধন সনদ জমা দেন। শিক্ষকদের বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই করতে গিয়ে শিক্ষক জহিরুল ইসলাম এর শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি নিয়ে সন্দেহ হয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। পরে তার ৩০৭১১৮২৬ রোল নাম্বারধারী ও ৯০০৩৩৮৩৯/২০০৯ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সনদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গুগলে অনুসন্ধান করে জানতে পারেন, শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি জাল ও ভুয়া। ঐ রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের প্রকৃত সনদধারী ব্যক্তি মো.সোলাইমান হোসেন। অপর শিক্ষক নাহিদা সুলতানার কম্পিউটার সার্টিফিকেটটি নিয়েও সন্দেহ পোষণ করেন অভিযোগকারীরা। তাদের দাবী নাহিদা সুলতানা কম্পিউটার বিষয়ে অনভিজ্ঞ এবং অজ্ঞ। এদেরকে তৎকালীন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ জব্বার খা অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। এনটিআরসিএ ভুয়া ও জাল সনদধারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেন ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য। অভিযুক্ত শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন, আমার শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি জাল ও ভুয়া নয়। তবে আমি ভালোভাবে দেখে জানাবো। বিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটির সভাপতি, শাহে আলম মীর বলেন, আমাকে সাবেক সভাপতি কাজি আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন ওই দুই শিক্ষকের সার্টিফিকেট জাল ও ভুয়া, তবে আমি এখনও যাচাই করে দেখিনি তা সঠিক না জাল।