নিজস্ব প্রতিবেদক // বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা দুই মৌসুম ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার নেতৃত্বে নবম আসরে ফাইনালও খেলে দলটি। কিন্তু শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১ রানে কুমিল্লার কাছে শিরোপা হারান তারা।
এর পর সাকিবের একাগ্রতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির কর্তারা। এসব নিয়ে কিছুটা বিরক্ত সাকিব। বিপিএলের দশম আসরে বরিশালে খেলতে আগ্রহী নন সাকিব। টাইগার টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে নতুন দলে দেখা যাবে। যতদূর জানা যাচ্ছে, সাকিবের ঢাকা দলের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন একটি আভাস পাওয়া গেছে বিসিবি থেকে।
বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি তিন বছর মেয়াদে দেওয়ায় দশম ও একাদশ আসরের জন্য প্রতিটি দল তিনজন করে দেশি ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে। ২০২২ সালের টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে তিন ক্রিকেটারের নাম বিসিবিতে দেওয়ার নিয়ম রাখা হয়েছে।
বাস্তবতা হলো— কোন কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি পরের দুই মৌসুমে দল গড়বে, সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বোর্ড। যদিও বিসিবি থেকে প্লেয়ার্স ড্রাফটের প্রস্তুতির জন্য গত আসরে খেলা সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিকে মেইল করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
ইতোমধ্যে বিসিবি শনিবার জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হতে পারে দশম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট। সেপ্টেম্বরে প্লেয়ার্স ড্রাফট হলেও টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে জাতীয় নির্বাচনের পর। বিপিএলের ১০ম আসর জানুয়ারির ১০ তারিখে শুরু হলে ফেব্রুয়ারির প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যেই টুর্নামেন্ট শেষ করতে হবে।
কারণ ওই মাসের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশ সফরে আসবে শ্রীলংকা। বিপিএলের সূচি আপাতত কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করলেও, প্লেয়ার ড্রাফটের বিষয়টি আগেই সেরে রাখতে চায় বিসিবি। বিপিএল নবম আসরে খেলা ঢাকা দলের মালিকানা পরিবর্তন হতে পারে। এ ছাড়া এবারের আসরে একটি দল বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে বিসিবির। রাজশাহী থেকে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান বিসিবির পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক।